বই পড়া আমার একটি সখ!
“বিশ্বাসঘাতক” পড়বার পর মনে হলো, নিচের কথা টুকু লিখে ফেলি। নিজের বিবেকের কাছে যদি প্রশ্নবিদ্ধ হই কোনদিন, তবে এই অংশটুকু পড়ে নিয়ে বুঝে নেবো, কতটুকি বিক্রি করেছি, আর কতটুকু পড়ে আছে বিক্রয়ের উপযুক্ত? আমি শৈশব থেকেই জেনে এসেছি, বই মূলত দুই ধরনের, পাঠ্যপুস্তক বা পড়ার বই আর অপাঠ্যপুস্তক বা না পড়ার বই। এই গল্পটুকু না হয় অন্য কোনদিন হবে। তবে প্রসঙের অবতারনা অপ্রাসঙ্গিক নয়। আজ এবেলায় এসে জানি, জীবনকে যাপন করবার জন্য যে জ্ঞ্যান টুকু দরকার: জীবন বোধ এবং জীবন দর্শন, তা ঐ পাঠ্যপুস্তকে আপনি পাবেন না। একে খুজে নিতে হলে সরনাপন্ন হতে হবে এই সব না পড়ার বই এর৷ বিজ্ঞানের খুব জটিল কিছু বিষয়কে খুব সরল ভাবে উপস্থাপন করে গেছেন সান্যাল বাবু, যদিও বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা উনার উদ্দেশ্য ছিলো না। তবে সে দায়িত্ব কাধে তুলে নিয়ে বিদ্যালয়ে, গবেষনাগারে কর্মরত আছেন যে সব শিক্ষা গুরু, তাদের অবশ্য পাঠ্য হওয়া উচিত এই অপাঠ্যপুস্তক। বিজ্ঞানের জটিল বিষয় গুলোকে সহজে কি করে উপস্থাপন করতে হয় তার শিক্ষা, এডভান্স ফলিত রসায়ন দ্বিতীয় পত্রে খুজে পাওয়া যাবে না। তা বুঝতে হলে আপনাকেও আশ্রয় খুজতে হবে এসব অপাঠ্যপুস্তকেই। আজীবন বিজ্ঞানের ছাত্রের গুরুদক্ষিণার এহেন প্রয়োগ দেখে যে সকল শিক্ষা গুরু খুব করে চটছেন, আমায় না হয় আধবেলা কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকার অথবা ক ঘা বেত্রাঘাতের শাস্তি দিয়ে দেবেন। আমি মাথা পেতে নেবো। এই গল্পখানি, বিশ্ব ইতিহাসের গল্প। না পারমানবিক বোমার গল্প টা নয়।